বিরামপুর বাজারে অসময়ে তরমুজ, কেজি ৬০ টাকা
এস এম মাসুদ রানা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ- বসন্ত শুরু হলেও দিনাজপুরের বিরামপুরে এখনো পুরোপুরি কাটেনি শীতের আমেজ। তবে বাজারে গেলেই চোখে পড়ছে গ্রীম্মকালীন ফল তরমুজ। আগাম জাতের গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজ কিনতে দোকানে ক্রেতার ভিড় এবং দর-কষাকষির দৃশ্য চোখে পড়লেও বিক্রি নেই দাবি ব্যবসায়ীদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিরামপুর পৌরসভার সামনে, স্টেশন বাজার, নতুন বাজার এলাকায় আগাম জাতের তরমুজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি দামে।বিরামপুর ঢাকা মোড়ে তরমুজ কিনতে আসা নাইম হোসেন বলেন, ‘শীতে তরমুজ বাজারে দেখাই যায় না, কেনার সময় খেয়ে দেখলাম স্বাদও তেমন ভালো না। তবে আমার বাচ্চারা তরমুজ খেতে অনেক ভালোবাসে, তাই ৬ কেজি ওজনের তরমুজ ৫৫ টাকা কেজি দামে কিনলাম। ’তরমুজ কিনতে আসা মুন্টু বলেন, ‘বাজারে নতুন ফল এসেছে তাই লোভ সামলাতে পারলাম না কেনার চেষ্টা করলাম, কিন্তু দাম বেশি বলে কেনা হলোনা।’
তরমুজ কিনতে আসা আরাক ক্রেতা বলেন, ‘আমি সীমিত রোজগার করি বাজারে নতুন ফল দেখে কিনতে ইচ্ছা হলো, কিন্তু একটি তরমুজ কিনতে আমার লাগবে আড়াইশো থেকে তিন’শ টাকা। আমার তা কেনা সম্ভব না। বাজারে তরমুজের দাম কম হলে হয়তো কিনে খেতে পারবো।’ফল বিক্রেতা স্বদেশ বলেন, ‘আমি সারাবছর ফলের ব্যাবসা করি। এখন বাজারে বিভিন্ন প্রকারের পেয়ারা, কুল বিক্রি হচ্ছে। আমি জানি চৈত্র মাসে তরমুজ বাজারে আসে, কিন্তু দেখি ফাল্গুন মাসেই এই ফল বিভিন্ন বাজারে অনেকে বিক্রি করেছে। তাই আমিও আগাম জাতের তরমুজ বিক্রি করছি। তবে এই আগাম জাতের তরমুজ বরিশাল এলাকায় হয়ে থাকে, সেই এলাকা থেকে এখানে আনতে খরচ একটু বেশি হয়। যার কারণে এখন বাজারে তরমুজ ৫০-৬০ টাকা কেজি দমে বিক্রি করতে হচ্ছে।’ফল বিক্রেতা সুলতান মাহামুদ বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলে তরমুজের আবাদ সে রকম হয় না। কয়েকটি এলাকায় আবাদ হলেও এই সময় বাজারে আসেনা। আমরা বরিশাল থেকে তরমুজ নিয়ে এসে বিক্রি করছি। এর স্বাদ ভালো থাকায় বাজারে চাহিদাও আছে। এক সপ্তাহ ধরে বিক্রি করছি, দাম একটু বেশি বলে বেচাকেনা সেভাবে জমে উঠেনি। তবে আশা করছি সমনে আর একটু গরম পরবে এবং রমজান মাসও আসছে বেচাকেনা জমে উঠবে। এখন কেনার চেয়ে দেখার কাস্টমার বেশি।
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ © নলডাঙ্গা বার্তা