রংপুরে পিস্তল ঠেকিয়ে বাড়িতে ডাকাতি
রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
রংপুরের কাউনিয়ায় সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়িতে দুর্র্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দিনগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের ভূতছাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) ভোরে খবর পেয়ে কাউনিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ডাকাত দলের সদস্যরা সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন, তার স্ত্রী ও কলেজপড়ুয়া মেয়েকে পিস্তল এবং ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন লুটে নেয়। আমজাদ হোসেন কাউনিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। ডাকাতির ঘটনা প্রসঙ্গে আমজাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বুধবার রাতে খাওয়া শেষে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। পাশের ঘরে তার স্ত্রী ও মেয়ে ছিল। রাত তিনটার দিকে ৪-৫ জনের একদল সশস্ত্র ডাকাত বাড়ির বারান্দার গেটের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে ডাকাত দলের সদস্যরা ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে একটি কক্ষে নিয়ে তাকেসহ তার স্ত্রী-কন্যার হাত ও মুখ বেঁধে জিম্মি করে রাখে।
পরে ডাকাতরা আমার স্ত্রীর বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে চাবি নিয়ে স্টিলের আলমিরা, ওয়্যারড্রপ ও শোকেসে থাকা নগদ প্রায় আট লাখ টাকা, পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়। আমজাদ হোসেনের স্ত্রী খালেদা আক্তার বলেন, ঘটনার সময় আমি ও আমার মেয়ে পাশের রুমে ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ শব্দ শুনে ঘুম ভেঙে গেলে দ্রুত পাশের রুমে এসে দেখি দরজায় অপরিচিত দুইজন যুবক দাঁড়িয়ে আছে। তারা আমার স্বামীর হাত পা বেঁধে মারপিট করেছে। তারা আমার ও মেয়ের হাত পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। লোহার রড দিয়ে স্বামীকে ও আমাকে মারধর করে। ডাকাতদের একজন আমার বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে আলমারির চাবি নেয়। তারা আমাদের তিনজনকে একটি কক্ষে আটকে রেখে সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, ডাকাত দলের সদস্যদের পরনে শুধু হাফপ্যান্ট ছিল, গায়ে কোন জামা ছিল না। সবারে পিঠে ছোট ব্যাগ ছিল। ডাকাতরা সব লুট করে নিয়ে যাওয়ার পর আমি, আমার স্বামী ও মেয়েকে নিয়ে পাশের বাড়িতে যাই এবং সেখান থেকে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানাই। খবর পেয়ে ভোরের দিকে পুলিশ ঘটনায় চলে আসে এবং আমাদের কাছ থেকে সবকিছু শুনে। থানা পুলিশ তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে এবং লুট হওয়া টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করবে এমন দাবি জানান শহীদবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কাউনিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ
এমরান সোনার
প্রকাশক ও বার্তা সম্পাদক
: মোঃ জামিল হায়দার (জনি)
ঠিকানা : হরিদা খলসী(৬৪০৩),
নলডাঙ্গা, নাটোর
যোগাযোগ : ০১৩১১-৬৯৬৯৫০
ইমেইল : naldangabatra6789@gmail.com
Copyright © 2024 নলডাঙ্গা বার্তা. All rights reserved.