হবিগঞ্জের প্রাইভেট ম্যাডিকেলে ভুল অপারেশনে বানিয়াচংয়ের প্রবাসীর মৃত্যুর অভিযোগ।
আকিকুর রহমান রুমন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলা সদরের এক প্রবাসীর মৃত্যুর ঘটনায় এবং পরিবারের লোকজনের তারাহুরো করে লাশ দাফনে এলাকাবাসীসহ আশপাশের লোকজনের মধ্যে এক প্রশ্নবৃদ্ধ’র জন্ম নিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৩নং দক্ষিণ পূর্ব ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বৈরাগী বাড়ির খালেক মিয়ার ওমান প্রবাসী জুবেদ মিয়া(২৫)এর মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে।
জানাযায়, গতকাল ২৫আগষ্ট(শক্রুবার)হবিগঞ্জ শহরের চাঁদের হাসি নামক প্রাইভেট ক্লিনিকে তার নাকের মধ্যে অপারেশন করা হয়েছিলো। এমনকি অপারেশন করাকালীন সময়ে তার নাকের ভিতরের একটি রগ কেটে ফেলেন ডাক্তার।
তখন প্রচুর পরিমাণ রক্তক্ষরণ শুরু হলে সেখানেই তার মৃত্যুর ঘন্টা বাজিয়ে দিয়েছেন অপারেশন করোয়া ডাক্তার এমনটাই অভিযোগ করছিলেন এবং শুনা যাচ্ছিলো সাথে থাকা স্বজনদের কাছ থেকে। পরে ক্লিনিকে জুবেদ মিয়ার অবস্থা খারাপের দিকে গেলে তাকে সিলেট রেফার করেন ক্লিনিক কতৃপক্ষ। এবং জুবেদ মিয়ার সাথের লোকজন থাকে সাথে সাথে সিলেট নিয়ে যাওয়ার জন্য রওয়ানা দেন।
এদিকে সিলেট নেওয়ার ঘন্টা দেড় এক পূর্বেই রাস্তার মধ্যে মৃত্যুর কোলে ডলে পরে জুবেদ মিয়া।
তারপরও তারা সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুর পরেও এমন অভিযোগ ঐ শুনা যাচ্ছিলো পরিবারের লোকজন এবং তার স্বজনদের নিকট হতে। এমনকি এসব অভিযোগ আমাদের কাছেও আসতে শুরু হয় ২৫আগষ্ট রাত থেকে।কিন্তু হঠাৎ করে পরিবারের লোকজনের নিরবতায় এমনকি মিডিয়ার লোকজনের কাছে এবিষয়ে কোন ধরনের কথা না বলায় ভিন্ন প্রশ্ন জাগে সবারই মনে। তাই এবিষয়ে জানার জন্য প্রথমেই এলাকাবাসীর কাছ থেকে ও আশপাশের লোকজনের কাছ থেকে একটু জানার চেষ্টা করি। এমনকি এই এলাকার স্হানীয় ইউপি সদস্য নিয়ে পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে জানতে চাইলে,তারা আরও উল্টো এবিষয়ে যেকোন কিছু না করা হয় এভাবেই চাপ প্রয়োগের মতো বলতে থাকেন।
কিন্তু এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানাযায়,এই প্রবাসী জুবেদ মিয়া ছুটিতে এসে প্রায় ২মাসের মতো হবে বিয়ে করেছেন। এমনকি তার হাতের মেহেদির রঙটি পর্যন্ত মুছে যায়নি হাতেই রয়ে গেছে। অন্যদিকে জুবেদ মিয়ার এমন মৃত্যুতে পরিবারের লোকজন চাচ্ছেননা এই বিষয়টি নিয়ে কোন ধরনের ঝামেলায় জড়াতে। তাদের এমন আচরণেও এলাকাবাসীসহ অনেকের কাছেই বিষয়টি প্রশ্নবৃদ্ধ। অনেকেই আবার বলাবলি করতে শুনা যাচ্ছে,যেখানে অপারেশন করা হয়েছে সেখান থেকে হয়তো তাদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তাই অনেকেই এই ঘটনার বিষয়ে সুষ্ঠ তদন্তের জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য তোফাজ্জল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,সকালে তিনি জেনেছেন এবং স্হানীয় ছিলাপাঞ্জা মসজিদে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং তাকে পারিবারিক ভাবে দাফন করা হয়ে গেছে।
এব্যাপারে হবিগঞ্জ সিভিল সার্জনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের জানান,এবিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি অভিযোগ পেলে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ © নলডাঙ্গা বার্তা