সংবাদ প্রাকাশের প্রতিবাদে পলাশবাড়ীতে সংবাদ সম্মেলন।
আমিরুল ইসলাম কবির, স্টাফ রিপোর্টারঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ৪নং বরিশাল ইউনিয়নের ডাকুনী গ্রামের জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিবন্ধীকে বেঁধে রেখে জমির দলিল,নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ দায়েরের প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধায় পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন,ভুক্তভোগী মো. শহীদ মোজাফ্ফর হাসান।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের ডাকুনী গ্রামের প্রতিবন্ধীকে বেঁধে রেখে জমির দলিল,নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিসিনপত্র লুট করার বিষয়ে আমি আমার সহোদর ভাইদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দাখিলসহ গত ৩ ও ৪ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন পত্রিকা,অনলাইন পত্রিকায় ও অন লাইন টিভিতে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রতিপক্ষ লিটন আলী গং-রা পারিবারিক-সামাজিক ভাবে আমাদের হেয় প্রতিপন্ন করতেই থানায় মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত অভিযোগ যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রকাশ হয়েছে।
আমরা লিটন গং-দের এমন ভিত্তিহীন অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। পাশাপাশি উল্লেখিত ঘটনার বিষয়ে প্রতিপক্ষ লিটন মন্ডলসহ অন্যান্য ৩ জনকে বিবাদী করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
থানায় অভিযোগের আলোকে জানা যায়,১নং বিবাদী লিটন মন্ডল গং-দের সাথে পূর্ব হতে আমিসহ আমার পরিবারের লোকজনদের জমা-জমি সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে মনোমালিন্য চলে আসছিল। বিবাদী লিটনের কাছ হতে বিগত ২১/০৪/২০১৩ সালে দলিল নং-১৯১০ মূলে একটি পুকুর ও পুকুর পাড়ের গাছসহ কবলা করি। কিন্ত গত ০৩/০৬/২০২৩৷ সালে পুকুর পাড়ে আম পাড়িতে গেলে লিটন বাঁধা দেয়। বিগত ২২/০৪/১৯৬৯ ইং তারিখের দলিল নং-৩৮০ দলিল মুলে আমার বাবা ও জ্যাঠা ৩২ শতক জমি কবলা করে। রেকর্ডের সময় আমার জ্যাঠা দলিল বের করলে উভয়ের নামে রেকর্ডভূক্ত হয়। কিন্তু আমার জ্যাঠাতো ভাই লিটনের বাবার মৃত্যু হলে দলিলটা গোপন করে। ১নং বিবাদী লিটনের পিতার অংশের জমি তার বাবাই বিক্রি করে যায়। এ নিয়ে গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে সালিশ দরবার হলেও গ্রাম্য মাতব্বর আঃ হামিদ আকন্দসহ অন্যান্যরা আমাদের যৌথ জমির দলিলগুলো পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দেয়। এছাড়াও গত ১৭/১০/২০২১ ইং সালে ৫৪৪৪ নং দলিল মূলে ১নং বিবাদী লিটন মন্ডলের কাছ থেকে ৮ শতাংশ জমি ক্রয় করি। অন্যান্য ডাকুনী মৌজা ছাড়াও বেড়ামালঞ্চা মৌজা হতে লিটনের বাবার নিকট হতে আমার বাবা জমি ক্রয় করে। বেড়ামালঞ্চা মৌজার জমিতে আমাদের চাতাল,রাইস মিল, চারটি গোডাউন,পুকুরসহ অনেক গাছপালা রয়েছে। ১নং বিবাদী লিটন ডায়াবেটিক,হার্ড, কিডনীসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। তাই যেকোন অঘটন ঘটিয়ে আমাদের ফাঁসাতে পারে। উপরোক্ত বিষয়ের আলোকে আমার বাবা এবং জ্যাঠার যৌথ দলিলগুলো উদ্ধারসহ আমাদের সকলের জীবনের নিরাপত্তার নিমিত্তে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে আমার সহোদর ভাই শহীদ মোজাফ্ফর হাসান,কামরুজ্জামান শামীম, হাসান আজিজুল ইসলাম সোফেল মন্ডল,রায়হান হাবিব রয়েন,আহসান হাবিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।।
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ © নলডাঙ্গা বার্তা