হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ৬বছরের প্রেমের পর বিয়ের দাবীতে কলেজ ছাত্রীর অনশন।
হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন প্রেমিকা। প্রেমিক-প্রেমিকার পাশাপাশি বাড়ি। সেই সুবাদে ভাললাগা থেকে ভালবাসা, ৬ বছরের প্রেমের সূত্রে দৈহিক সম্পর্ক। ভুক্তভোগী প্রেমিকা বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় প্রতারক প্রেমিক এনামুল বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়।
অতপর নি:স্ব প্রেমিকা প্রতারক প্রেমিকের বসত ঘরে অনশনে বসেছে বিয়ের দাবীতে।
মঙ্গলবার(৫ সেপ্টেম্বর)বিকাল ৪ টা থেকে বানিয়াচং উপজেলার ইনাতখানী গ্রামের নূরুল ইসলাম ডাক্তারের বাড়িতে অনশনে বসেছেন ২২ বছরের প্রেমিকা।
সূত্রে জানা যায়, ইনাতখানী গ্রামের পল্লী চিকিৎসক নূরুল ইসলামের পুত্র মিশুক চালক এনামুল হোসেন(২৪)পাশের ঘরের ফারুক হোসেনের পালিত কন্যার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে বেশ কয়েকবার দৈহিক সম্পর্ক ও হয়েছে। কিছুদিন পূর্বে প্রেমিকা বিয়ের জন্য চাপ দিলে এনামুল টালবাহানা শুরু করে। প্রতারণার বিষয়টি প্রেমিকা টের পেয়ে প্রেমিক এনামুলের বসত ঘরে ডুকে পড়ে বিয়ের দাবীতে অনশনে বসে পড়ে।
খবর পেয়ে বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৩নং দক্ষিণ পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরফান উদ্দিন ও ইউপি সদস্য সৈয়দ নূরুল হুদা সামাজিক বিচারের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়েছেন। ছেলের সাথে পরামর্শ না করে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবেনা বলে ছেলের বাবা নূরুল ইসলাম ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি মেম্বারকে জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেয়েটির এক পড়শী জানান, মেয়েটিকে ছেলের পরিবারের লোকজন শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন।
এ ব্যাপারে মেয়ের পালিত বাবার এক ভাই জানান,ওই ছেলে মেয়েটির সর্বনাশ করেছে,প্রেমের নামে ইজ্জত লুটেছে।এখন সে অনশন করবে নাতো কি করবে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এনামুল পলাতক থাকায় ও তার বাবাকে খুজে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নাই।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে রাত ১১টা ১৫মিনিটে বানিয়াচং থানা পুলিশ ভুক্তভোগী মেয়েটিকে ছেলের ঘর থেকে উদ্ধার করে বানিয়াচং থানায় নিয়ে যাওয়া যাওয়ার খবর পাওয়া যায়।
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ
এমরান সোনার
প্রকাশক ও বার্তা সম্পাদক
: মোঃ জামিল হায়দার (জনি)
ঠিকানা : হরিদা খলসী(৬৪০৩),
নলডাঙ্গা, নাটোর
যোগাযোগ : ০১৩১১-৬৯৬৯৫০
ইমেইল : naldangabatra6789@gmail.com
Copyright © 2024 নলডাঙ্গা বার্তা. All rights reserved.