বাগমারায় ৮০ হাজার টাকা ছিনতাই সময় ৩ ছিনতাইকে গণধোলাই- গ্রেফতার ৩
মো: জাহাঙ্গীর আলম, রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের কানাইশহর নামক গ্রামে ছিনতায়কালের সময় ৩ জনকে হাতেনাতে ধরে স্থানীয়রা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের রক্ষিতপাড়া গ্রামের রায়হান দেওয়ানের স্ত্রী মোছাঃ ফিরোজা খাতুন ব্রাক এনজিও হতে ৮০ হাজার টাকা ঋণ উত্তোলন করে ভ্যান যোগে বাড়ি ফেরার পথে কয়েকজন ছিনতাইকারী তার পথ আটকায় এবং নিজেদেরকে এনজিওর কর্মী পরিচয় দিয়ে বলে ভুলবশত তার নিকট বেশি টাকা এসেছে।
টাকা গণনা করে দেখার জন্য টাকাগুলো তাদের হাতে চাই। টাকা তাদের হাতে না দিলেও জোরপূর্বক তারা ফিরোজা খাতুনের নিকট হতে ৮০ হাজার টাকা ছিনতাই করে পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পড়ে ৩ জন ছিনতাইকারী এবং ২ টি মোটরসাইকেল। এ সময় জনতা তাদেরকে ধরে প্রথমে গণধোলাই দেয় এবং পরে ছিনতাইকারীদের আউচপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে আনা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে এবং ছিনতাইকারীদের থানায় নিয়ে যেতে চাইলে জনগণ বাধা প্রদান করে এবং দাবি তুলে ছিনতাইকৃত ৮০ হাজার টাকা এখানে নগদ প্রদান করে আসামিদের নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু ছিনতাইকাররা জানাই ৮০ হাজার টাকা তাদের সাথে থাকা আরেক ছিনতাইকারী নিয়ে পালিয়ে গেছে। টাকা ছাড়া জনতা কোনভাবেই ছিনতাইকারীদের ছাড়তে চায় না।
পরবর্তীতে আউচপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডিএম সাফিকুল ইসলাম সাফি সহ উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা জনতাকে অনেক বুঝান কিন্তু জনতা কোনভাবেই আসামিদের টাকা ছাড়া ছেড়ে দিতে রাজি ছিল না। প্রাথমিকভাবে জানা যায় ছিনতাইকারীরা হলেন, নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের হাজী গোবিন্দপুর গ্রামের নুরুদ্দিনের ছেলে রেজাউল ইসলাম, আব্দুস সালামের ছেলে মোঃ জাবেদ হোসেন, মৃত ময়াজ উদ্দিনের ছেলে হাফিজুর রহমান।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আরো অতিরিক্ত পুলিশ আসে এবং জনতার নিকট হতে আসামিদের প্রথমে হাট গাঙ্গোপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরবর্তীতে বাগমারা থানায় নিয়ে যান।
এ বিষয়ে বাগমারা থানা’র অফিসার ইনচার্জ ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ
এমরান সোনার
প্রকাশক ও বার্তা সম্পাদক
: মোঃ জামিল হায়দার (জনি)
ঠিকানা : হরিদা খলসী(৬৪০৩),
নলডাঙ্গা, নাটোর
যোগাযোগ : ০১৩১১-৬৯৬৯৫০
ইমেইল : naldangabatra6789@gmail.com
Copyright © 2024 নলডাঙ্গা বার্তা. All rights reserved.