পতিতা বৃত্তির উদ্দেশ্যে ১৫ বছরের কিশোরী অপহরণ ও পাচারকারী গ্রেফতার।
শ্রী মিশুক চন্দ্র ভুঁইয়া, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পতিতা চক্রের মূলহোতাসহ দুইজন সহযোগী আসামিকে পটুয়াখালী হতে গ্রেফতার এবং ০১ জন ভিকটিম উদ্ধার করেছে, র্যাব-৮, বরিশাল। র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের খুন, অপহরণ, ধর্ষণ,মানবপাচার, চুরি ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ড রোধে অতি দ্রুততার সাথে আসামী গ্রেফতার করে দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে যা সাধারণ জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায়, র্যাব—৮, বরিশাল, সদর কোম্পানী এবং পটুয়াখালী ক্যাম্পের একটি বিশেষ যৌথ আভিযানিক দল অদ্য ০২ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ পটয়াখালী জেলার সদর থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার ২৫ বছরের কিশোরী অপহরণ পূর্বক পাচার চক্রের মূলহোতাসহ দুইজন সহযোগী আসামি (১) মোঃ ইমন হোসেন (২০), পিতা-মোঃ হাবিবুর রহমান, সাং- জলিশা, থানা – দুমকি, জেলা-পটুয়াখালী,২। তানিয়া(২৬), পিতাঃ মৃত আনিচ আলী, সাংঃ চরপাতালীধী, থানাঃ পালং, জেলাঃ শরীয়তপুর, ৩। জাহানারা বেগম(২৭), পিতাঃ জাহাঙ্গীর বেপারী, সাংঃ পুরান বাজার, থানাঃ মাদরীপুর সদর, জেলাঃ মাদারীপুর’কে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য যে, গত ১১ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখে ভিকটিম জান্নাতি আক্তার (১৫) বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার বাকেরগঞ্জ মহিলা মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে নিখোজ হয়। এ মর্মে ভিকটিমের পিতা মোঃআবুল কালাম ১২ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি নিখোজ জিডি করেন। উক্ত ঘটনায় থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার তদন্তের মাধ্যমে ভিকটিম পটুয়াখালী সদর থানাধীন এলাকায় অবস্থান করছে বিধায় আসামি গ্রেফতারের নিমিত্তে র্যাব -৮ বরিশাল বরাবর একটি অধিযাচন পত্র প্রেরণ করেন। এমতাবস্থায় র্যাব-৮ সদর কোম্পানী এবং সিপিসি-০১ পটুয়াখালী ক্যাম্প ছায়াতদন্ত ও আধুনিক তথ্য প্রযু্ক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভিকটিমের অবস্থান সনাক্ত করে ভিকটিমকে উদ্ধার করে এবং ভিকটিমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মানব পাচার চ্ক্রের মূলহোতাসহ তার দুই সহযোগী আসামি (১) মোঃ ইমন হোসেন (২০), পিতা-মোঃ হাবিবুর রহমান, সাং- জলিশা, থানা – দুমকি, জেলা-পটুয়াখালী,২। তানিয়া(২৬), পিতাঃ মৃত আনিচ আলী, সাংঃ চরপাতালীধী, থানাঃ পালং, জেলাঃ শরীয়তপুর, ৩। জাহানারা বেগম(২৭), পিতাঃ জাহাঙ্গীর বেপারী, সাংঃ পুরান বাজার, থানাঃ মাদরীপুর সদর, জেলাঃ মাদারীপুর’কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর তারা স্বীকার করে যে, আসামী মোঃ ইমন হোসেন ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অন্যান্য আসামিদের প্রত্যক্ষ সহযোগিত ও প্ররোচনায় গত ১১/০৩/২০২৪ তারিখ সকাল ১৩.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিম মোছাঃ জান্নাতি আক্তার (১৫)’ কে বাকেরগঞ্জ পৌরসভাধীন ০৬ নং ওয়ার্ডস্থ ভরপাশা টিএন্ডটি রোড মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সামনে পাকা রাস্তার উপর হতে জোরপূর্বক মানব পাচারের উদেশ্যে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ০২ নং ও ০৩ নং আসামীর নিকট মাত্র ৩০,০০০.০০ (ত্রিশ হাজার) টাকার বিনিময়ে পতিতা বৃত্তির উদ্দেশ্যে বিক্রি করে দেয়। কিন্তু রমজান মাসে পতিতাবৃত্তি বন্ধ থাকায় আসামীরা ভিকটিমকে নানাভাবে পতিতাবৃত্তির জন্য চাপ ও প্ররোচনা দিয়ে আসছে।
উল্লেখিত ঘটনায়, বরিশার জেলার বাকেগঞ্জ থানায় তদন্তকারী দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার বাকেরগঞ্জ থানায় ‘মানাব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৬/৭/৮/১১’ ধারার অপরাধ অনুযায়ী একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৩, তারিখ-০২/০৪/২০২৪ ইং। উল্লেখিত মানব পাচার মামলার উদ্ধারকৃত ভিকটিম এবং গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয় ।
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ © নলডাঙ্গা বার্তা