১১০ বার পঠিত
পাবনার সুজানগরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক-পুলিশ ত্রিমুখী সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত-৫
মাসুদ রানা, পাবনা প্রতিনিধিঃ
পাবনার সুজানগ উপজেলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ও পুলিশের সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ২ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। এঘটনায় ৩ জনকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যার দিকে সুজানগর উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের কালিরমোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ভায়না ইউনিয়নের ভায়না এলাকার রশিদ প্রামাণিকের ছেলে বাদশা প্রামাণিক (৪০), শেকেল শেখের ছেলে মতিন শেখ (৫০) ও মৃত আজগর আলীর ছেলে আব্দুল আওয়াল (৩৫)। অন্যান্য আহত এবং আটককৃদের তাৎক্ষনিক নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সন্ধ্যার দিকে ভায়নার কালিরমোড় এলাকায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনুজ্জামান শাহিনের সমর্থকরা দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাবের সমর্থক শাহিনের এক সমর্থকের পায়ের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল তুলে দেন। এতে দুই গ্রুপের মধ্যে ছোট আকারে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে আব্দুল ওহাবের সমর্থক ভায়না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিনের লোকজনের সঙ্গে শাহিনের সমর্থকদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে পুলিশের সঙ্গে শাহিনুজ্জামান শাহিনের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এতে ২ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৫ জন আহত হোন। এবিষয়ে ভায়না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন বলেন, আমার বাড়ির ওপরে শাহিনুজ্জামান শাহিনের লোকজন হামলা করেছে। আমার বাড়ি ঘর ভাংচুর করেছে। পরে পুলিশ এসে তাদের প্রতিরোধ করে। এখন তাদের লোকজন কিভাবে আহত হয়েছে পুলিশই ভালো বলতে পারবে।
এব্যাপারে সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, আমিন চেয়ারম্যানের বাড়ির ওপর হামলার খবর পেয়ে সেখানে গেলে শাহিনের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা করে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শর্টগানের ফায়ার করলে একজনের পায়ে লাগে। ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে। তবে হামলার জন্য আমিন চেয়ারম্যানকে দায়ী করে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনুজ্জামান শাহিন বলেন, ‘ভোট নিয়ে কথাকাটাকাটির একজন প্রার্থী আমিন চেয়ারম্যান নেতৃত্বে আব্দুল মজিদ নামের আমার এক সমর্থককে মারধর করে। এটা নিয়েই উত্তেজনা। পরে আমিন চেয়ারম্যান নেতৃত্বে আমার লোকজনের ওপর গুলি চালানো হয়। এতে আমার কয়েকজন সমর্থক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।