নওগাঁর কাঁচা মরিচ কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে পার্থক্য ৬০ টাকা।
গোলাম রাব্বানী, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
এক কৃষক বলেন, “মরিচ চাষের খরচ বেড়েছে, কিন্তু বাজারে ভালো দাম পাচ্ছি না। আমরা ২৫০ টাকায় মরিচ বিক্রি করি, অথচ শহরে গিয়ে সেই মরিচ ৩২০ টাকায় বিক্রি হয়। এর বেশিরভাগ লাভ পাইকারি ব্যবসায়ীদের পকেটে চলে যায়।”
অন্যদিকে, সাধারণ ভোক্তারাও খুচরা বাজারে মরিচের উচ্চমূল্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নওগাঁ শহরের এক ক্রেতা বলেন, “বাজারে সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। মরিচের দাম এত বেশি যে সাধারণ মানুষকে বিপাকে পড়তে হচ্ছে।”
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কৃষকদের সরাসরি বাজারে যুক্ত করার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। আধুনিক কৃষি মার্কেট প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে কৃষকরা যেন সরাসরি ভোক্তার কাছে পণ্য বিক্রি করতে পারেন, সেদিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি। এছাড়া, সরকারের তত্ত্বাবধানে কৃষিপণ্যের মূল্য নির্ধারণে কঠোর মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করা উচিত ।বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, শীতকালীন মরিচের সরবরাহ শুরু হলে বাজারের স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য কৃষি পণ্য বিপণন ব্যবস্থায় সমন্বয় এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব কমানো দরকার। কৃষক ও ভোক্তার উভয়ের স্বার্থ রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে এমন পরিস্থিতি বারবার তৈরি হতে পারে।
গ্রীষ্মকালীন মরিচের মৌসুম শেষ পর্যায়ে চলে আসায় মূল্য কিছুটা কমতে শুরু করেছে, তবে কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত মূল্য ব্যবধান নিয়ে উদ্বেগ রয়েই গেছে। কৃষকদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা এবং বাজার ব্যবস্থায় মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব নিয়ন্ত্রণে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। শীতকালীন মরিচের বাজারে আসার মাধ্যমে দাম কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে, তবে এই সময়ের মধ্যে বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ © নলডাঙ্গা বার্তা